রানার গ্রুপে নিয়োগ, কর্মস্থল ঢাকা

আগের সংবাদ

সাভারে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সোহেল রোজারিও গ্রেপ্তার

পরের সংবাদ

ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলা, কোস্টগার্ডের গুলি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত :৯:০৪ অপরাহ্ণ, ১৯/১০/২৫

বরিশালের হিজলায় মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের অভিযানে আবারও হামলা করেছে জেলেরা। এ ঘটনায় হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীর ধুলখোলা ইউনিয়নের মূল মেঘনা নদীর মোহনায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জেলেরা আভিযানিক দলের স্পিডবোট ঘিরে ফেলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিসোঁটা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারি মালামাল এবং প্রাণ বাঁচাতে ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পিছু হটেন আভিযানিক দলের সদস্যরা।

এ ঘটনায় হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে মো. সোলায়মান, মো. রাসেল, মো. শরীফ, মো. রিয়াজ, বাদশা চৌকিদার, মো. সোহেল এবং মো. আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হিজলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো রোববার দুপুরে হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়ন সংলগ্ন মূল মেঘনা নদীতে কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় দুটি স্পিডবোট নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন তারা। জেলেরা ট্রলারে ইলিশ শিকার করতে দেখে কাছাকাছি যান আভিযানিক দলের সদস্যরা। ঠিক সেই মুহূর্তে ২০টি ট্রলারে আসা জেলেরা আভিযানিক দলের ট্রলার দুটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। প্রতিটি ট্রলারে অন্তত ২০ জন করে জেলে ছিল। তাদের প্রত্যেকের হাতে বাঁশ এবং ধারালো অস্ত্র দেখা যায়।

তিনি বলেন, একপর্যায় চারদিক থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে আমি (মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম) এবং মৎস্য অফিসের স্টাফ ও শ্রমিকসহ ১৫ জন ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন। তখন কোস্টগার্ড সদস্যরা ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে কোনো রকম জীবন নিয়ে ফিরে আসি।

মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, মেঘনা নদী ইলিশের অভয়াশ্রম। এখানে সাগরের ইলিশ ডিম ছাড়তে এসেছে। সঙ্গে জাটকা ইলিশের ঝাঁক এসেছে। একশ্রেণির জেলেরা এ লোভ সামলাতে পারছে না। এ কারণে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ শিকারে যাচ্ছে। তারা সবসময় প্রস্তুতি নিয়েই নদীতে নামছে। অর্থাৎ আভিযানিক দলের ওপর হামলার একটি পরিকল্পনা নিয়েই নামছে। আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। এত জেলের সঙ্গে মোকাবিলা করা অসম্ভব।