সব
সাভারের অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে একটি গেস্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে ৯ নারীসহ ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার ক্যাপ্টেন সামাদ টাওয়ারের দুবাই গেস্ট হাউসে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এক জনকে ছেড়ে দিলেও ২১ জনের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার দুপুরে মামলার ২১ জন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার আসামীরা হলেন- মোঃ আলী,নাইমুল ইসলাম (৩১), আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে তুহিন (২১), মোঃ সাকিল (১৪), আশরাফুল আলম (২৬), মাশকারুজ্জামান রবিন (২৪), মোঃ ইসলাম শেখ (৪০), আকাশ মিয়া (২৫),মো: সাজু মিয়া (২৫), আসাদুজ্জামান (৪০), মেহেদী হাসান (৩২), সিয়াম (২৩), মেহেদী হাসান বাবু (২৪), পারভীন আক্তার মনি (২৫), তাসলিমা বেগম (৩০), মৌসুমী আক্তার (২৩), লিজা আক্তার (২৫), মিথিলা আক্তার (২৩), আসমানি হক উর্মি (২৩) ও আদুরি খাতুন (২৫)। প্রাথমিকভাবে তাদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ক্যাপ্টেন সামাদ টাওয়ারের ৫ তলায় তিনটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে দুবাই গেস্ট হাউস নাম দিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে একটি মহল। দেহ ব্যবসার অভিযোগে জুলাই বিপ্লবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা দুবাই গেস্ট হাউসে ভাঙচুর চালায়। তখন ১৯ জন পতিতা ও খদ্দর ধরা পড়ে এবং গেস্ট হাউসটি সীলগালা করে পুলিশ। ঘটনার পর কয়েকদিন দুবাই গেস্ট হাউসটি বন্ধ থাকলেও আবারও অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যান তারা। দুবাই গেস্ট হাউসের মালিক কখনও মাহমুদ নামে কখনও সবুজ নামে পরিচয় দেয়।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা জানান, অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ৯ নারীসহ ২২ জনকে থানায় আনা হয়েছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাকিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।