সব
ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ হারের পর ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচ সিরিজের শুরুটা ভালো হলেও রোহিত শর্মার দল মাঝপথেই খেই হারায়। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তারা হেরে যায় ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। এরপর সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে লড়াই বেশ জমেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের পর ভারত আরও বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে। র্যাঙ্কিং থেকেও অবনতি হয়েছে তাদের। তার বিপরীতে স্টিভ স্মিথের দল শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে সফরকারীরা। শুরুটাও খুব ভাল করেছিল দুই ওপেনার মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেড। দ্রুত রান করছিলেন তারা। অবশ্য সেই ধারা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি। কারণ তাদের বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে স্মিথের দল ৪৯ ওভারে ২৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায়।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করেছিলেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। যে মিচেল স্টার্ক আগের দুই ম্যাচে নতুন বলে ভারতকে সমস্যায় ফেলেছিল সেই স্টার্কের বিরুদ্ধে আগ্রাসী শট খেলছিলেন তারা। কিন্তু তাদের ধাক্কা দিতে খুব বেশি সময় লাগেনি অজিদের। ৫২ রান করা বিরাট কোহলি ছাড়া আর কেউই ফিফটির দেখা পাননি। টেস্টের মতো এই ম্যাচেও তারা স্পিনারদের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে যান। অ্যাডাম জাম্পা চারটি এবং অ্যাশটন অ্যাগার নেন দুটি উইকেট। ফলে রোহিতদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৪৮ রানে। এতে ভারত ২১ রানে ম্যাচ হারে।
ম্যাচ শেষেই আইসিসি ওয়ানডে ফরম্যাটের র্যাঙ্কিং ঘোষণা করে। যেখানে শীর্ষে থাকা স্মিথদের পয়েন্ট ৩৯৬৫। রেটিং পয়েন্ট ১১৩। সমান রেটিং পয়েন্ট নিয়েও দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে ভারত। যদিও রোহিতদের পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ার থেকে অনেকটাই বেশি (৫২৯৪)।
তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাদের পয়েন্ট ৩২২৯। রেটিং পয়েন্ট ১১১। চার নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডেরও রেটিং পয়েন্ট ১১১। জস বাটলারদের পয়েন্ট ৩৯৯৮। এই তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। বাবর আজমদের পয়েন্ট ২৬৪৯। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১০৬। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অবস্থান সাত নম্বরে। ৩৫২০ পয়েন্টের পাশাপাশি তাদের রেটিং ৯৫।