ফিটনেস, রোডপারমিট ছাড়া চলছিলো ‘সেইফ লাইন’ পরিবহন

আগের সংবাদ

চাঁদা না দেওয়ায় কুকুরের বিরিয়ানি বলে অপপ্রচার

পরের সংবাদ

টাকা চাওয়ায় মধ্যরাতে নারীকে শ্লীলতাহানি ও মারধর যুবলীগ নেতার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত :৮:৫৫ অপরাহ্ণ, ১১/০৬/২২

সাভারের আশুলিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়া ও মামলা করাই এক নারী ও তার পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ ওঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার আকস্মিকতায় ভীতসন্ত্রস্ত ওই নারী মুঠোফোনে বাঁচার আকুতি জানান। জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করলেও পুলিশি সহায়তা পাননি বলেও অভিযোগ ওই নারীর।

শুক্রবার (১১ জুন) দিবাগত রাত ২ টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নিপা আক্তার  সাংবাদিকরা গেলে  এসব অভিযোগ করেন।

ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মোল্লাসহ ২০-২৫ জন লোক রাত ১১ টার দিকে তার বাড়িতে হামলা চালায় অভিযোগ ভুক্তভোগীর। নিপা আক্তার ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে চিৎকার করে বাঁচার আকুতি জানিয়ে কান্না করতে থাকতে।

ভুক্তভোগী নিপা বলেন, সোহেল মোল্লা আশুলিয়ার ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক। আমার স্বামীর বন্ধুত্বের সুবাদে সোহেলের সাথে আমার পরিচয়। তিন বছর আগে বালুর ব্যবসা পরিচালনার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা ধার নেয় যুবলীগ নেতা সোহেল। তিন-চার মাস পরেই সেই টাকা পরিশোধের ডেট ছিলো। কিন্তু সোহেল টাকা না দিয়ে উল্টো নানা তালবাহানা করে ও শেষমেশ সে ৬ টা চেক দেয় সেই চেকে টাকা নেই।  পাওনা টাকা চাওয়ায় অনেকবার আমার স্বামীকে মারধরও করা হয়েছে। পরে আমরা সেই চেক নিয়ে একটা মামলা করি। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল রাত ২ টার দিকে হঠাৎ আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। সোহেল সহ ২০-২৫ জন পিস্তল, চাপাতি ও লোহার পাইপ নিয়ে এসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় আমার স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলে নাইম ও আমার তাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে আমার ঘরে ভাঙচুর চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় তারা আসবাবপত্র সহ আমার স্বামীর মোটরসাইকেলটিও ভেঙ্গে ফেলে। আমার গায়ের কাপড়চোপর ছিড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। জিআই পাইপ দিয়ে মারধর করা হয় আমাকে।

ভুক্তভোগী নারীর স্বামী চান মিয়া বলেন, আমি সোহেলকে বিশ্বাস করে টাকা হাওলাত দিছিলাম। কিন্তু এখন টাকা চাইলেই সোহেল মোল্লা আমাকে তার দল বল নিয়ে হামলা চালায়। এর আগেও অনেক বার হামলা চালাইছে। গত কাল মধ্য রাতে সে আবার তার দল নিয়ে যেভাবে হামলা চালাইছে পুরো মহল্লার মানুষ যানে। কিন্তু তাদের ভয়ে কেউ কথা বলার সাহস পায় না।

ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল আমিন সরকার বলেন, যে মহিলার কথা বলছেন সেতো এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। আর আমি এ ব্যাপারে অবগত না। আমি আপনার মুখ থেকে প্রথম শুনলাম।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল বলেন, আমি ভুক্তভোগীদের বাড়িতে গিয়েছিলাম পরিদর্শন করতে। ভুক্তভোগীদের থানায় আসতে বলেছি। থানায় আসলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।