সব
সাভারের আশুলিয়ায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন এর ৬ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য রাজন ভূইয়ার নামে ব্যবসায়িকে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় মামলা।
সোমবার (৩০ মে) অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক।
এরআগে, রোববার (২৯ মে) বিকালে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকার পূর্ব নরশিংহপুর সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে রাতে আশুলিয়া থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান।
অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য রাজন ভূঁঈয়া (২৩) ও তার ছোটো ভাই রাকিব ভূঈয়া (২৪), জাহিদ ভূঈয়া (২৫), মোঃ শামীম (২৫), মোঃ শরীফ (২৫), মো: হৃদয় (২২) ও মোঃ অনিক (২০)।
আহত ভুক্তভোগীরা হলেন- আশুলিয়ার ঘোষবাগ প্রাইমারী স্কুলের পাশে জাকির হোসেন ভূঁঈয়ার ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান (২৬) ও একই এলাকার জামাল ভূঈয়ার ছেলে জাহিদ ভূঈয়া (২৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে থেকে পূর্ব নরসিংহপুর সোনামিয়া মার্কেট এলাকায় ইন্টারনেটের ব্যবসা করে আসচ্ছেন হাবিবুর রহমান ও জাহিদ ভূঈয়া। তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ভূঈয়া ইন্টারনেট সার্ভিস। কিন্তু ইউপি সদস্য রাজন ও তার ছোটো ভাই রাকিব তাদের ব্যবসা দখল নিতে গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেয়। গতকাল পূর্ব নরসিংহপুর মোল্লাপাড়া এলাকায় রাজন ভূঈয়ার নির্দেশে ব্যবসায়ীদের কয়েকটি সংযোগ কেটে দেয় ও প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে রাকিব ও তার ১০-১২ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী। বিষয়টি নিয়ে সেখানে থাকা হাবিবুর ও জাহিদ প্রতিবাদ করলে দেশী অস্ত্র রডসহ লাঠি দিয়ে তাদের মারধর করে তারা। এসময় সদ্য ব্যাংক থেকে তুলে আনা হাবিবুরের কাছে থাকা ২ লাখ টাকা রাকিব ও তার সহযোগীরা নিয়ে যায়।
স্থানীয় একজন বলেন, রাজন ভূইয়া এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি, সে পোলাপান দিয়ে চাঁদাবাজি সহ এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে তার অপকর্ম আর বেড়ে যায়। আর এতে নেতৃত্ব দেই তার আপন ছোট ভাই রাকিব ভূইয়া। এলাকায় কিশোর গ্যাং ক্ষেত তার অনেক পরিচিত ও বটে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জাহিদ ভূঁঈয়া বলেন, আমি ও আমার পাটনার শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করে আসচ্ছি। কিন্তু গত নির্বাচনে রাজন ভূঁঈয়া মেম্বার হওয়ার পর থেকে আমাদের নেটের ব্যবসা দখল নিতে অন্যথা প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে তাকে। এই সূত্র ধরে গতকাল সে তার ছোটো ভাই রাকিবকে পাঠিয়েছে আমাদের সংযোগ কেটে তাদের সংযোগ লাগিয়ে দিতে। কিন্তু আমরা বাধা দিলে আমাদের উপর হামলা করে। এই রাজন ভূঈয়া ও তার ছোটো ভাই রাকিব ভূঈয়ার নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মেম্বার হওয়ার পর এলাকা মাদকের আখরা বানিয়েছে। সে এলাকার মাদক সম্রাট।
এ বিষয়ে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য রাজন ভূঁঈয়া বলেন, তাদের ইন্টারনেটের ব্যবসা নিয়া কাল অনেক কথা কাটাকাটি হইছে। এটা আজ মিউচ্যুয়াল হয়ে যাবে। বসবো আরকি, এলাকার মুরব্বিরা ভার (দায়িত্ব) নিছে। এ ব্যাপারে আমি জানি নাতো আমার নাম দিছে কি না?
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসাআই) এমদাদুল হক বলেন, এঘটনা ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজির একটি মামলা করেছে। আমরা আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি।