গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লেগে পুড়লো ১২ কক্ষ

আগের সংবাদ

ছাত্রলীগ নেতার ধর্ষণের স্বীকার তরুণীকে এলাকা ছাড়া করতে আ.লীগ নেতার হুমকি

পরের সংবাদ

রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত পোশাক শ্রমিকের পাশে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত :৫:০৭ অপরাহ্ণ, ২০/০৩/২২

সাভারে গভীর রাতে ছিনতাইকারীর ছুড়ির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মহাসড়কের পাশে পড়ে সাহায্যকামনায় করছিলেন মোঃ সাখাওয়াত (১৯) নামের এক পোশাক শ্রমিক। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তিসহ যাবতীয় খরচ বহন করেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।

রোববার (২০ মার্চ) সকালে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।

এরআগে, শনিবার (১৯ মার্চ) দিবাগত ১ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের পুলিশ টাউন থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

আহত মোঃ সাখাওয়াত রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার হাবিবুর রহমানের ছেলে। সে সাভারের পশ্চিম ব্যাংক টাউন এলাকায় থেকে আল-মুসলিম নামের এক পোশাক কারখানায় ওয়াশিং এর হেলপার হিসাবে কাজ করতেন।

সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান জানান, তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায়। সেখান থেকে তাকে ফোন দেয় কোনো এক রিকশাচালক। সেখানে গিয়ে সাখাওয়াতের করুন অবস্থা দেখতে পান তিনি। পরে উদ্ধার করে প্রথমে সাভারের এনাম মেডিকেল পরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা আরও অবনতি হলে ভোরেই সাখাওয়াতকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন তিনি। সুধু তাই নয়, সাখাওয়াতের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়াসহ চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করছেন তিনি।

তিনি বলেন, ৯৯৯ থেকে এক রিকশাচালক ফোন দেয়। সেই খবরে আমি সেখানে গিয়ে দেখি এই অবস্থা। আশেপাশের মানুষের কাছে জানতে পাই। গতকাল রাতে ১ টার দিকে গাজিপুর থেকে বাসার দিকে যাচ্ছিলো সাখাওয়াত। পরে সাভার পুলিশ টাউন এলাকায় ব্রীজের পাশে বাস থেকে নামিয়ে দিলে হেটে যাওয়ার সময় ব্রিজের নিচে তাকে ছিনতাইকারীরা আটক করে তার কাছে থাকা মোবাইল-টাকা চায়। সে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে ছুড়ি দিয়ে শরীর বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

তিনি বলেন, সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে এনাম মেডিকেল পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে তার অবস্থা আরও অবনতি হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল আমি নিজে অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারাও হাসপাতালে গিয়েছে পরে। হাসপাতালে ভর্তি পর দেখা গেছে গলা, পেট, পিঠ, হাত ও পায়ে প্রায় ২০ টির মত আঘাত করা হয়েছে। ক্ষতর স্থানগুলো গভীর। সাখাওয়াত কথা বলতে পারছিলো না। তার সাথে কয়েকবার কথা বলার চেষ্টা করেছি।

আইনি পক্রিয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি সিনিয়র স্যারদের সাথে কথা বলে ও ভুক্তভোগী সাখাওয়াতের সাথে কথা বলে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।