মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জনসাধারণের সেবা করার উদ্দেশ্যেই যিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স করেন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি গত ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করে দেশের সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি বর্তমানে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এর দাযিত্ব পালন করছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে বুকে ধরে সততা এবং সাহসিকতাই নিয়ে রাজনীতি করে চলেছেন তিনি। আজবধি তিনি কোনো অন্যায় অবিচারের সঙ্গে আপোষ করেননি। দৃঢ় অবস্থানের কারণে নিজ নির্বাচিত এলাকায় দিনের পর দিন তার জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। বর্তমানে যার বিকল্প হিসেবে অন্য কাউকে দেখছে না এলাকাবাসী। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সেই মেধাবী ও পরিশ্রমি মানুষটি আশুলিয়ার জননন্দিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠ সাভারের আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন। এক সময়ের অবহেলিত এই অঞ্চলটির সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য তেমন কোনো পাঁকা কিংবা আরসিসি ঢালাইয়ের রাস্তা ছিলো না। ফলে চলাচলের সময় নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতেন তারা। জনসাধারনের এই দুর্দশা আর দুরবস্থা দেখে জনগনের সেবা করার উদ্যেশে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইতোমধ্যে এই ইউনিয়নের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের শতকারা ৯০ ভাগ সম্পন্ন করেছেন। পাল্টে দিয়েছেন সম্পূর্ন ইউনিয়নের সামগ্রিক চিত্র।

ধামসোনা ইউনিয়নের পল্লিবিদ্যূৎ, ডেন্ডাবর, গাজিরচট, বাইপাইল, মধুপুর, বলিভদ্র ও ইউনিক এলাকার বিভিন্ন আরসিসি ঢালাইয়ের রাস্তা এবং সাথে ড্রেণেজ ব্যবস্থা দেখে আপনার মনে হতে পারে আপনি কোনো মডেল টাউনে এসেছেন। তাই এই ইউনিয়নকে একটা মডেল ইউনিয়ন বলা যেতেই পারে।

উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি মহামারি করোনা কালিন পরিস্থিতির শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত এই ইউনিয়নের কর্মহীন ও হতদরিদ্র মানুষের পাশে ব্যক্তিগত উদ্যোগে খাদ্য এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়াসহ বিভিন্ন মানবিক কর্মকান্ডে কারনেই তিনি আজ জননন্দিত। অন্যদিকে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পরে থেকে এলাকায় মাদক এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতি অবলম্বনে কাজ করে চলেছেন।

ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনের এমপি ও বাংলাদেশ সরকারের দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রি ডা. এনামুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলছে তার আগামীর পথচলা। শুধু নিজস্ব নির্বাচনী এলাকা নয় বরং তার পরিচয় ছড়িয়ে পড়ে আশুলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে। পরোপকার ও দরিদ্র মানুষকে সহায়তাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্যই তিনি আশুলিয়ার জনসাধারনের কাছে বেশ পরিচিত।

বাংলাদেশকে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ’য়সী প্রশংসা করে জাতীয় শ্রমিক লীগ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোঃ ইমাম হোসেন বলেন, এই অগ্রযাত্রার একজন অন্যতম কর্মী আমাদের ইউপি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভাই । তিনি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী ও মাদক ব্যবসা সহ সকল ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সেই সাথে নিজ নির্বাচনী এলাকাসহ আশুলিয়ার সবকয়টি ইউনিয়নে নিজের ব্যাক্তিগত তহবিল হতে ত্রাণ দিয়ে দিয়ে আসছেন। তাই আমরা আগামীতে তার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে অন্য কাউকে দেখছি না।

তিনি আরও বলেন, আশুলিয়ার এই জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ভাইকে আগামী নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য আওয়ামীলীগসহ এর অঙ্গসংগঠনের ভাইয়েরা সবাই একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে বলে আমি আশাবাদি। উনাকে জয় করবে ইনশাল্লাহ।

এ ব্যাপারে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে দেশের সর্বচ্চ ভোটে বিজয়ী চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন। তার পর থেকে সুখে-দুংখে আমি তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। গত দিন গুলোতে তাদের পাশে যেভাবে ছিলাম আগামীতেও থাকবো। তিনি সবার কাছে দোয়া চান এ সময়।