সব
এক্সপ্রেস প্রতিবেদক
মাদক বিরোধী অভিযানে সাভারের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আতাউর রহমান আতা র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে রাজধানীর ভাষানটেক থানার দেওয়ানপাড়া লোহার ব্রিজ এলাকায় র্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময়ে আতা নিহত হয়।
র্যাব-৪ সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ায় সাভার থেকে পালিয়ে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় অবস্থান নেন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আতাউর রহমান আতা। বিষয়টি জানার পর বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে দেওয়ানপাড়া লোহার ব্রীজের কাছে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী র্যাবের সঙ্গে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় আতাউর রহমান আতা, বাপ্পি ও মোস্তফা হাওলাদার নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এঘটনায় গুলিবিদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে আতাউর রহমান আতা সাভারের র্শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী এবং তার নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে দায়ের করা মামলাসহ প্রায় ২০টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
গতকাল বুধবার সরজমিনে মজিদপুর এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে আতা মজিদপুর এলাকায় আসে না। সে রাজাশন এলাকায় থাকতো। পরে রাজাশন এলাকায়ও খোঁজ করে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। ইতিপূর্বে পুলিশের সোর্স থাকাকালীন অবস্থায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, আতা ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এলাকাছাড়া। তারা রাজধানীতে বসবাস করে। তবে আতার মৃত্যুর খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মজিদপুর ও রাজাশন এলাকাাবাসী।
এলাকাবাসীরা আরও জানায়, আতাউর রহমান আতা সাভার পৌর এলাকার মজিদপুর ছোট বলিমেহের এলাকার ইসার উদ্দিনের ছেলে। সে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাভারের মাদক সম্রাট মুক্তির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলো। এছাড়া সে দীর্ঘদিন পুলিশের সোর্স হিসেবেও কাজ করতো এবং মুক্তির মৃত্যুর পর থেকে সাভারের মাদক সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতো।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীনুল কাদির বলেন, আতাউর রহমান আতার নামে কয়টি মামলা রয়েছে বিষয়টি আমার জানা নাই। এছাড়া যেহেতু র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সে মারা গেছে। সেহেতু বিষয়টি র্যাবই ভালো বলতে পারবে।