এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
ধামরাইয়ে ছাত্রলীগ নেতার হাতে মারধর ও লাঞ্ছিত শিকার হয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
বুধবার দুপুরে ধামরাইয়ের ইসলামপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য কমপ্লেকের কর্ব্যরত চিকিৎসক ডা. আশা জানান, ছাত্রলীগ নেতার হাতে সহকর্মী চিকিৎসক সাব্বির আহমেদ শাকিল লাঞ্ছিতের ঘটনায় আমরা চরম নিরাপত্তহীনতা ভুগছি। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়ে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা নিবেন। না হলে আমাদের স্বাভাবিক কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল রহমান জানান, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহিন আহমেদ নিজের ব্লাড পেসার মাপাতে আসে। এসময় চিকিৎসক কক্ষে যেতে বললে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিলকে অকথ্য ভাষায় গালিগাজ শুরু করে। এসময় তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে কিল ঘুসি লাথি দিয়ে মেঝেতে ফেলে দিয়ে মারধর করেন। পরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী এগিয়ে আসলে ছাত্রলীগ নেতা মাহিন পালিয়ে যায়। ঘটনার পর পরই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি ও উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষসহ সংস্থানীয় সাংসদকে জানানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এখানে কর্মরত চিকিৎসকরা অন্যত্র চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ এম এ মালেক সাহেবকে জানানো হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার আভাস দিযেছেন।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ মুক্তিযুদ্ধা এম এ মালেকের দাবী, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে রোগীর ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। রোগী মাহিন কোন আওয়ামীলীগ বা দলীয় নেতাকর্মী নয়।
মুঠোফোনে মাহিন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান, ব্লাড পেসার মাপতে গেলে চিকিৎসক অন্য কক্ষে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে গিয়ে দেখা পেসার মেশিন নষ্ট। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে চিকিৎসক সঙ্গে কথা কাটি ও ধাক্কার ঘটনা ঘটে। এর বেশি কিছু নয়। তারপরই মুঠোফোনের লাইনটি কেটে দেন।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক জানান, বিষয়টি মৌখিক ভাবে শুনেছি। তবে এখানো লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি।