সব
এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
বাঙ্গালীর মায়ের ভাষা বাংলা। মায়ের এই ভাষাকে ভালবেসে জীবন দিতেও পিছু পা হয়নি বাংলার দামাল ছেলেরা। ১৯৫২ সালের সেই ভাষা আন্দোলন এখনও অবাক করে বিশ্ববাসীকে। তাই তো বাংলা ছড়িয়ে পরেছে বিশ্বব্যাপী। ইতোমধ্যে ১৯৫২ সালের সেই ভয়ানক একুশে ফেব্রুয়ারী পেয়েছে আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা। এমনকি আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের দ্বিতীয় দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়েছে বাংলা। বাংলা এগিয়ে চলছে। বাংলা এগিয়ে যাবে। সেদিন আর বেশী দূরে নয়, যেদিন আমরা বাংলাকে জাতিসংঘের ৭ম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে দেখতে পাব আমরা। এভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে ”জাতিসংঘে বাংলা চাই” অনলাইন ভোটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন হল সাভারে। উৎসাহ উদ্দীপনা আর তরুন শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আগ্রহের মধ্য দিয়ে বুধবার সকালে সাভার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন,সাভার সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মো: ইলিয়াস খান, উপধ্যক্ষ দিল আফরোজা শামীম,শিক্ষক পরিষদের সাধারন সম্পাদক খান মো: দেলোয়ার হোসেন, সাভার প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক পার্থ চক্রবর্তী, বৈশাখী টেলিভিশনের সাভার প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল হালিম, এশিয়ান টেলিভিশনের সাভার প্রতিনিধি আহসান উল্লাহ, সাভার প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ইমদাদুল হক, রাইজিংবিডির নিজস্ব প্রতিবেদক সাফিউল ইসলাম সাকিব, জাগ্রত ফাউন্ডেশনের সভাপতি মনি মুক্তা ইসলাম, নিউজ একাত্তার অনলাইনের সহকারী সম্পাদক এসএম শফিক, সরকার মডেল একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মাজেদুল ইসলাম,ডেইলী ট্রাইব্যুনালের ষ্টাফ রিপোর্টার ওমর ফারুক, আমার প্রাণের বাংলাদেশের প্রতিনিধি মো. আওলাদ হোসেন, বৈশাখী টেলিভিশনের ভিডিও গ্রাফার শরীফ হাসান নিলয়সহ অন্যান্যরা।
জাগোনিউজের সাভার প্রতিনিধি আল-মামুনের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাভার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ মো: ইলিয়াস খান বলেন, ”১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পৃথিবীর বুকে একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। মায়ের ভাষাকে বাচিয়ে রাখার জন্য পৃথিবীর কোন জাতি এতবড় ত্যাগ স্বীকার করেনি। জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে আরও আগেই বাংলার স্থান পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এই মহতি উদ্দ্যেগটি কেউ নিতেই পারেনি। জাগোনিউজ আমাদের ঘুম ভেঙ্গে দিয়েছে। আমাদের সকলের এই ভোটে অংশ নিয়ে বাংলার পক্ষে ভোট দেয়া উচিত”
ভোট প্রদান শেষে উপধ্যক্ষ দিল আফরোজা শামীম বলেন, ”বাংলা আমার মুখের ভাষা। এই বাংলা যদি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সংঘের দাপ্তরিক ভাষা হয়-তাহলে বাংঙ্গালী হিসেবেই আমাদের মর্যাদা অনেক উচ্চতায় পৌছে যাবে। এজন্য এই কার্যক্রমে আমাদের সবার সাড়া দেয়া উচিত”।
সাভার প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক পার্থ চক্রবর্র্তী বলেন, ”দেশের সংবাদ মাধ্যম গুলোর মধ্যে জাগোনিউজ সব সময় ব্যক্তিক্রমী সংবাদ প্রচার করে। তাদের সব গুলো ভাল কাজের মধ্যে জাতি সংঘে বাংলা চাই একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।”
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষ হওয়ার পরপরই সাভার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং আগত অতিথিরা ভোট প্রদান শুরু করেন। পরে কলেজ মাঠ থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি সাভার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আবারও এই কার্যক্রমকে সফল করার জন্য সাভারবাসীসহ দেশবাসীর প্রতি আহবান জানায় অতিথিরা।
উল্লেখ্য, ভাষার মাস হিসেবে পুরো ফেব্রুয়ারী মাস জুড়েই সারাদেশে জাতিসংঘে বাংলা চাই স্লোগানে অনলাইন ভোটিং কার্যক্রম চালিয়ে আসছে জাগোনিউজ। জাগোনিউজের মহতি এই উদ্দ্যেগের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছেন প্রাণ-আরএফএল শিল্প গ্রুপ।