সব
এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
ঢাকা-২০ আসন ধামরাইয়ের সংসদ সদস্য এমএ মালেক ও তার স্ত্রী মিনা মালেকের বিরুদ্ধে বে-সরকারী টেলিভিশন চ্যানেল নাইন সংবাদ প্রকাশ করায় এলাকাবাসীর ব্যনারে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ধামরাইয়ের থানা রোডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব বন্ধন ব্যানারে দেখা যায় আয়োজনে ধামরাইবাসী, তবে ব্যানার হাতে দীর্ঘক্ষন ধরে দাড়িয়ে থাকে ড্রেস পরা শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীদের জঙ্গী বিরোধী মানববন্ধনের আংশ নেয়ার আমন্ত্রন জানিয়ে পরে তারা চ্যানেল নাইনের বিরুদ্ধে ব্যানার টাঙ্গিয়ে মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করেন।
জানা গেছে, ধামরাইয়ে সংসদ সদস্য এমএ মালেক, তার স্ত্রী মিনা মালেক ও তার মেয়ের জামাতা শাহিনের বিভিন্ন দখলবাজী আর দূনীতির চিত্র তুলে ধরে বে-সরকারী টেলিভিশন চ্যানেল নাইন সংবাদ প্রকাশ করেন। এরপরই ক্ষেপে যান সাংসদের স্ত্রী মিনা মালেক প্রথমে হুমকি পরে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা প্রত্যাহারে দাবিতে গত ৪ জানুয়ারী আশুলিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদকর্মীরাও সাংসদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে একটি মানবন্ধনের আয়োজন করলে সে সময় এমপি মালেক ও তার মেয়ের জামাই শাহিন প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদিক নেতাদের মামলা প্রত্যাহারের আশ্বাস দেন। ১০দিনেও সেই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত ১৪ জানুয়ারী পূণরায় কর্মসূচি গ্রহন করেন মিনা মালেকের বিরুদ্ধে। যা দেশের গণমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে স্থান পায়।
তারই জেরে নিজের সাফাই গাইতে বৃহস্পতিবার ধামরাই থানা রোডে এলাকাবাসির ব্যনারে এক মানববন্ধনের আয়োজন করেন তার পোষ্য লোকজন। সকাল ১০টায় মানববন্ধনে কোন লোকজন না হওয়ায় লজ্জা বাচাতে ধামরাই কলেজ থেকে শিক্ষার্থীদের জঙ্গী বিরোধী মানববন্ধনে অংশ নিতে আহবান জানান। পরে ক্লাস বন্ধ রেখে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় জঙ্গী বিরোধী না হয়ে চ্যানেল নাইনের বিরুদ্ধে কেন এমন প্রশ্ন তুলে অনেকেই চলে যান।
ধামরাই কলেজের শিক্ষার্থী আখী বলেন, কেন মানববন্ধন জানি না। ক্লাসে গিয়ে বড় ভাইরা আমাদের ক্লাস থেকে বের করে এনে দাড় করিয়ে রেখেছে। আরেক কিছু জানিনা। আরেক শিক্ষার্থী জানান, স্যারেরা ক্লাশ ছুটি দিয়েছে তাই এখানে এসেছি।
যদিও ধামরাই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম জানান, অফিসিয়াল কোন ক্লাস বন্ধ ছিল না। আর চ্যানেল নাইনের বিরুদ্ধে মানবন্ধনের বিষয়টিও তিনি আগে থেকে জানতেন না। তবে কিছু ছাত্র যেতে পারে এ নিয়ে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে ধামরাইয়ের সাবেক সাংসদ ও ঢাকা জেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ জানান, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে গিয়ে কোমলমতী শিক্ষার্থীদে র দিয়ে মানব বন্ধন করার কোন যুক্তিকতা নেই। এমনকি শিক্ষার্থীদের জঙ্গী বিরোধী মানব বন্ধনের নামে চাপ সৃষ্টি করে সাংসদের পক্ষে মানব বন্ধন করানোর বিষয়ে শুনেছি। এতে দলের ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এরকম দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে এমরকম আচরন সবার কাছে নিন্দনীয়।