সব
মেহেদী হাসান শাওন: আশুলিয়ার নবীনগর বাস স্ট্যান্ড থেকে নিখোজের ৭ মাস পর ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব-৪ এর একটি দল। বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার বড়ওয়ালিয়া এলাকার এনায়েত উল্লাহর বাগান বাড়ির ভিতর থেকে মাটিচাপা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নারীসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এছাড়া হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত বিল্লাল হোসেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার বরন্দী কাস্তা গ্রামের মৃত গাহের আলীর ছেলে। সে ধামরাইয়ের বিভিন্ন ইট ভাটা ইট কিনে সাভার আশুলিয়ায় ইট সরবরাহ করে আসছিলো।
আটক নাসির উদ্দিন দিপু মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার চরতিল্লী গ্রামের মৃত খবীর উদ্দিনের ছেলে। অপরজন মুর্শিদা আক্তার শিউলী নাটোরের সিংড়া থানার ডাহিয়া গ্রামের বাদল হকের মেয়ে।র্যাব সূত্র জানায়, গতকাল রাতে নাসির উদ্দিনকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাভারের চাপাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মুর্শিদা আক্তার শিউলী নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে বড়ওয়ালিয়া এলাকার এনায়েত উল্লাহর বাগান বাড়ি থেকে মাটিচাপা দেয়া মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আসামী নাসির উদ্দিন দীর্ঘ দিন ওই বাগান বাড়ির কেয়ারটেয়ার ছিল।
এ বিষয়ে র্যাব-৪ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর আব্দুল হাকিম জানান, মানিকগঞ্জের ইট ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনের সাথে থাকা প্রায় লক্ষাধিক টাকা লুটের জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। মুলত গত ১৩ এপ্রিল ধামরাই আহাদ ব্রিকস থেকে ইট নিয়ে আশুলিয়ার জিরাবো আসেন। পরে আশুলিয়ার নবীনগর বাস স্ট্যান্ড থেকে নিখোঁজ হয়। কোথাও সন্ধান না পেয়ে তার পরিবার ধামরাই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পাশাপাশি র্যাবকে অবহিত করেন। র্যাব উচ্চতর প্রযুক্তি ব্যাবহার করে শিউলী ও নাসিরকে আটক করেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে নিখোজ ব্যবসায়ীর মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় র্যাব।