সব
এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকায় নিখোঁজের পাচঁদিন পর আশা এনজিও এর লোন কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন উর্মির মৃতদেহ জঙ্গলে মাটি চাপা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত দশটার দিকে আশুলিয়ার কবিরপুর দেওয়ানপাড়া বাংলাদেশ বেতারের সীমানার পাশের একটি জমি থেকে মাটি চাপা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাবিনা ইয়াসমিন গাইবান্ধা সদর জেলার রগুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। সে চক্রবর্তী এলাকায় স্বামী জাহিদ হাসানের সাথে একটি ভাড়া বাসায় থেকে আশা ফাউন্ডেশন লোন অফিসার হিসেবে কাজ করতো।
আটককৃতরা হলেন- কবিরপুর দেওয়ানপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোসলেম হোসেন ও তার স্ত্রী রাজিয়া আক্তার ।
আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল আলম জানান, গত পাচঁদিন আগে সাবিনা মুসলেমের বাড়িতে ঋণের টাকা উত্তোলনের জন্য যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। পরে আশা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে থানায় একটি নিখোজ ডায়েরী করে। এরপর থেকে মুঠোফোনের ব্যবহারে সাবিনার সর্বশেষ অবস্থান মোসলেমের বাড়িকে পাওয়া যায়। পরে মোসলেম ও তার স্ত্রীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার বিষয়ে স্বীকার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে তাকে নিয়ে রাতে একটি পরিত্যক্ত জমি খনন করে সাবিনার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত কয়েকমাস আগে আশা ফাউন্ডেশন থেকে ৯৮হাজার টাকা ঋণ নেয় মুসলেম। পরে ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেয় সাবিনা। গত পাচঁদিন আগে টাকা উত্তোলনের জন্য গেলে আগে থেকে দুপুরে উৎপেতে থাকা মোসলেম ও তার স্ত্রীসহ কয়েকজন গলায় রশি পেচিঁয়ে শ্বাসরোধ করে ড্রামের ভিতরে রাখে। এরপরে রাত একটার দিকে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরের একটি পরিত্যাক্ত জমিতে লাশ পুতে রাখে। বাকীদের গ্রেপ্তার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। এদিকে হত্যার পর সাবিনার কাছে ঋণের উত্তোলনের প্রায় ২লাখ টাকা লুট করে বলে জানান এই কর্মকর্তা।