সব
মো. ই্উসুফ জামিল:
“প্রায় ২মাস আগ থেকে লক্ষ্য করছিলাম কেউ একজন রাতে জানালার পাশে এসে তাকিয়ে থাকে। বিষয়টি গুরুত্ব দেইনি। পরে মনে হলো আশে পাশের রুমের কারো বয়ফ্রেন্ড হবে তাই হয়তো। কিন্তু পূজা ও ভর্তি পরীক্ষার দীর্ঘদিনের বন্ধেও লক্ষ্য করলাম লোকটি প্রতি রাতে ১১:০০ টার দিক আসে।ইচ্ছেমত রাত ৩/৪ টা র্পযন্ত হলের পেছনের জঙ্গলেই অবস্থান করে। তখন হলের দোতলার পেছনের ব্লকে আমি ও সহপাঠী ছাড়া কেউ ছিল না। আমার সহপাঠী বিষয়টি জানালে সে লক্ষ্য করল, লোকটি পর্ন আসক্ত। সে আমাদের উদ্দেশ্য করে খারাপ খারাপ ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিগত কয়েক মাস ধরে এই ব্যাপারে এত আতঙ্ক কাজ করতো যে নিজের রুমেই স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে খুব বিব্রতবোধ করতাম। র্ভতি পরীক্ষা চলছে তাই রুম অনেক পরীর্ক্ষাথী। তারাও গত দুই তিনদিন যাবৎ আমার সাথে ভুক্তভোগী। রুমের লাইট অফ থাকলে সে টর্চ, লেজার লাইট, পাথর মারতো”। কথা গুলো বলছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেসা হলের ভুক্তভোগী এক শির্ক্ষাথী।
গতকাল ঘটনাটির পুনরাবৃত্তি ঘটলে রাত ১.৫৫ দিকে জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ নেতা সিহাব অবহিত করে ফজিলাতুন্নেসা হলের শির্ক্ষাথীরা। সিহাবের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের উপছাত্র বৃত্তি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এবং সহ- সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সম্প্রসারিত আলবেরুনী হলের সামনে অবস্থিত টির্চাস কোর্য়াটার এবং ফজিলাতুন্নেসা হলের মাঝখানের গলি থেকে ছাত্রলীগ নেতারা উক্তত্যকারীকে ধরে ফেলে। জাকির নামের উক্তত্যকারী বাসা আশুলিয়ার কাঠগড়ায়। উক্তত্যকারী নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়। পরে তাকে ধোলাই দিয়ে আশুলিয়া থানায় হস্থান্তর করা হয়। এসময় নিরাপত্তা র্কমর্কতা সুদীপ্ত শাহিন উপস্থিত ছিলেন।
ফজিলাতুন্নেসা হলের ভুক্তভোগী আরেক শির্ক্ষাথী ইভটিজিং প্রতিরোধে ছাত্রলীগের ভুমিকায় ধন্যবাদ দেন।তিনি আরও বলেন, শুধু রাজনীতি নয়, জাবির নিরাপত্তায় রক্ষায় তাদের ভুমিকা প্রসংশার দাবিদার।
জাবি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা র্কমর্কতা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ঘটনাটি গতপরশু আমি শুনেছি এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে সাথে সাথে ফোন দিতে বলি। গতকাল রাতে আমি ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে ছুটে যাই। জাকির নামের উক্তত্যকারী নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়। পরে তাকে আশুলিয়া থানায় হস্থান্তর করা হয়।
মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ নেতা সিহাব বলেন, ভুক্তভোগী ছোট বোনের ফোন পাওয়ার সাথে সাথে বন্ধু আলী, ছোট ভাই দেলোয়ারকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অপরাধীকে ধরতে সক্ষম হই। পরে তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে আশুলিয়া থানায় হস্থান্তর করা হয়।
এ ব্যপারে মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগ ইউনিটকে ধন্যবাদ জানিয়ে জাবি ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সব সময় সাধারণ শির্ক্ষাথীদে পাশে ছিল এখনও আছে। ছাত্রলীগ সব সময় সচেতন রয়েছে ক্যাম্পসের নিরাপত্তার ব্যপারে। ইভটিজিং থেকে শুরু করে সকল অন্যায় প্রতিরোধে জাবি ছাত্রলীগ সদা প্রস্তুত রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, এত বড় ক্যাম্পসে প্রশাসনের একার পক্ষে র্পযাপ্ত নিরাপত্ত দেওয়া সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের র্কতৃপক্ষের যেমন দ্বায়িত্ব আছে তেমনি ক্যাম্পাসের প্রতিটি শির্ক্ষাথীকে এগিয়ে আসতে হবে ইভটিজিং প্রতিরোদের জন্যে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষে থেকে র্সাবিক সহযোগীতা করা হবে।