সাভারে লেগুনা চাপায় শিশু নিহত

আগের সংবাদ

আশুলিয়ার বাস চাপায় হেলপার নিহত

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী ধামরাইয়ে গ্রেফতার

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৫:২৫ অপরাহ্ণ, ০৭/০৭/১৭

এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:

আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষের সময় ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমকে দিনে দুপুরে গুলি করে হত্যার প্রধান আসামী শেখ শরিফুল ধামরাই থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ধামরাই ঢুলিভিটা বাস স্ট্যান্ড থেকে পলাতক শরিফুলকে গ্রেফতার করে।

শরিফুল আশুলিয়ার চাকলগ্রাম এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে। সে হত্যা কান্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন। এছাড়া নিহত আব্দুর রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামী ছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শামীম হাসান নিশ্চিত করে জানান, গত ২৯ মার্চ বিকেলে ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংর্ঘষ চলাকালিন সময় গুলি করে ব্যবসায়ী রহিমকে হত্যা করা হয়। এর পরদিন নিহতের ভাই আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে মামলার প্রধান আসামী শরিফুল পালিয়ে যায়। এর পর থেকে তাকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু বার বার পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও সাড়ে তিন মাস পর প্রযুক্তিকর ব্যবহারে মাধ্যমে ধামরাইয়ের শরিববাগ স্ট্যান্ড শরিফুলের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। এসময় কৌশলে শরিফুলেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছে সে। তবে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শরিফুল এলাকায় ভাড়াটে মাস্তান হিসেবে বেশি পরিচিত। এছাড়া এলাকার বাজার গুলোতে চাদাঁবাজীর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, বছরের শুরু থেকে পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে হালিমের সাথে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোয়াজ্জেমের সাথে টাকসুর এলাকার ডেলিম ম্যাপ এর ঝুট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্ধ চলে আসছিল। এর প্রেক্ষিতে গত ২৯ মার্চ ঝুট ব্যবস কে দখলের জন্য নয়ারহাট বাজারে মোয়াজ্জেমের নিজস্ব অফিসে হালিম তার দল নিয়ে হামলা চালায়। এসময় দুপক্ষের সংর্ঘষ চলাকালিন সময়ে অফিসে থাকা আব্দুর রহিমকে প্রকাশ্যে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে তারা। পরে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।

অন্যদিকে তার পরদিন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়া, সদস্য শফিউর রহমান সোহাগ, শরীফুল, হালিমসহ ১৪জনের নাম উল্লেখ ও ১৫ জনের নামের অজ্ঞাতদের নামে নিহতের ভাই সমুন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন । পরে ইউপি চেয়ারম্যান, ও সদস্য সহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে আদালতে জামিনে তারা বেরিয়ে আসেন।