সব
এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
শিল্পাঞ্চল-সাভার আশুলিয়ায় ঈদকে ঘিরে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে অধিকাংশ শিল্প কারখানা ছুঁটি হওয়ায় নারীর টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। যানবাহন চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে গাড়ির চাপ। বিভিন্ন মহাসড়ক ঘুরে এ দৃশ্য চোখে পড়ে। আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। এরফলে যানবাহনগুলো ধীর গতিতে।
অন্যদিকে ঘরমূখীদের নির্বিঘ্ন যাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিবার নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে বাসের। নারীর টানে বাড়ি ফিরতে জীবনের ঝুঁকে নিয়ে অনেকে বসার আসন না পেয়ে বাধ্য হয়ে ছাদে ঝুঁলে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছে। আবার কেউ কেউ ট্রাকেও যাতায়ত করছে।
নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির চাপ আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করেছে বাস মালিকরা। মহাসড়কের ইউনিক, জামগড়া, সরকার মার্কেট, নরসিংহপুর, জিরানো, আশুলিয়া বাস ষ্ট্যান্ড, বাইপাইল, ডিইপিজেড, বলিবদ্রবাজার, শ্রীপুর , জিরানীবাজার এলাকায় মানুষের ভীড় বেড়ে চলছে।
বাসের ছাদে ঝুঁলে বাড়ির দিকে রওয়ানা হওয়া শাহীন নামে এক যাত্রীর সঙ্গে কথা বললে সে জানায়, আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরের পর গার্মেন্ট ছুঁটি হওয়ায় বাড়ির দিকে রওয়ানা হয়েছি। বাসে সিট না পাওয়ায় শেষে বাধ্য হলে ছাদে ঝুঁলে যেতে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির জানান, বৃস্পতিবার অনেক কারখানা ছুঁটি ঘোষণা করার যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। তার সাথে গাড়ির চাপাও বৃদ্ধি পাওয়ায় যানজটের ধীরগতি থাকতে পারে । এছাড়া বিকেলে এ চাপ আর বাড়তে পারে। এতে মানুষের সাময়িক ভোগান্তিতে পরলেও পুলিশ সর্তক রয়েছে। মহসড়াকের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।