সব
এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
গরু ঘাস খাচ্ছে না। ভাত খাওয়ার জন্য ধান ক্ষেতে দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছে। না পেয়ে রাখালের সংঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলায় গরু ও রাখাল উভয় গুরুতর আহত। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাখাল বাদী হয়ে গরুকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গরুটিকে আটক করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এই হলো খবর। হাঁসি পেলেও অনেক নামধারী সাংবাদিক ফেসবুকে এরকম অবাস্তব সংবাদ দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারে তাদের ব্যস্ততা বাড়িয়েছেন। ফেসবুক কে পুঁজি করে অনেক চতুর সাংবাদিক সাধারন মানুষ বা পাঠকে ঠকাচ্ছে ও বোকা বানাচ্ছে। কোন অনলাইনে বা পত্রিকায় নয়। এমনকি কোন টিভিতে সংবাদ প্রচার হয় না। সেই সব ভিডিও ফুটেজ ও বক্তব্য, সংবাদ ফেসবুকে আপলোড করে দিচ্ছে। এখানেই শেষ নয় কেউ কেউ আবার লাইভও দিচ্ছে। অনেক সহজ সরল মানুষকে তারা বলছে ও ভাবাচ্ছে, সংবাদ প্রচার হয়ে গেছে টিভিতে বা পত্রিকায়। এই তালিকায় অপেশাদার সাংবাদিকের পাশাপাশি পেশাদার সাংবাদিকদেরও এই তালিকায় দেখা যায়। ফেসবুক প্রমাণ সরূপ তাই বলে। আবার নির্লজ্জ হাসিমাখা মুখে বলেন, দেখেন নিউজটা কত হিট করছে। কত লাইক আর ফুটেজটা কতবার মানুষ দেখছে? ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সাংবাদিকতা মহান পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা কতটা যৌক্তিক? বানানের ব্যবহার, সেই দিকে আর না গেলাম। ফেসবুকে খুব সহজে সংবাদটি ভুল ভাবেও উপস্থাপন হতে পারে। কোন গণমাধ্যমে প্রচারিত বা প্রকাশিত হতে হলে, সম্পাদক বা বার্তা সম্পাদকগন ভুলগুলো ঠিক করে সঠিকভাবে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে। ফলে ফেসবুক সাংবাদিকরা সাধারন মানুষের বিশ্বাস নিয়ে এই ছলনা কতটা যুক্তিযুক্ত। কারণ জনগন যখন সচেতন আর ছলনার মুল বিষয় জানতে পারবে সাংবাদিকের মহান পেশাকে প্রশ্ন বিদ্ধ করবে। সচেতন হওয়া উচিত। কারণ মানুষের দিনে দিনে যেভাবে প্রযুক্তিজ্ঞান ও ব্যবহার বাড়ছে, ফলে আপনার অসম্মান হওয়ার সম্ভবনা কিন্তু ততই বাড়ছে। আপনার প্রচারিত সংবাদ ফেসবুকে আপলোট দেয়ার মাধ্যমে সংবাদের গ্রহণ যোগ্যতা ও সচ্ছতা তুলে ধরা উচিত। আর পাঠকরা এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে ফেসবুক সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলাই উত্তম।
প্রতিবেদনটি কাউকে কষ্ট দেয়া বা আক্রমন করার কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে লেখা হয়নি। তবু যদি অজান্তে কেউ কষ্ঠ পেয়ে থাকেন আমরা আন্তরিক ভাবে দু:খিত। সচেতন ও আধুনিক যুগে এসে মানুষ এই রকম বিড়ম্বনার শিকার হউক তা কারোই কাম্য নয়।