সব
এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
সাভারে বিরুলিয়ায় মেয়ে শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ইন্ধনে স্থানীয় বহিরাগত ছাত্রলীগ ও বেসরকারি সিটি ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সিটি ইউনির্ভাসিটির এক শিক্ষার্থী নিহত হয় ও গুলিবিদ্ধ ৭ জনসহ আহত আরও ২০ জন। এঘটনায় দুই বহিরাগতকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে সাভারের বিরুলিয়ার খাগানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগসহ আশে পাশের কয়েকটি দোকানপাট ভাঙ্গচুর চালায়। আঞ্চলিক সড়কটি অবরোধ করে রাখে। এসময় এলাকাবাসীরা ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে চলে যায়।
নিহতের নাম সিফাত হোসেন। সে সিটি ইউনিভার্সিটি টেক্সটাইল বিভাগের ১১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলো।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, গতকাল মেয়ে শিক্ষার্থী উত্যক্ত করায় সিটি ইউনির্ভাসিটির টেক্সটাইল বিভাগের বাপ্পী নামে এক শিক্ষার্থীকে ক্ষমা চাওয়ায় একই বিভাগের সিনিয়র ব্যাচের শাহেদসহ কয়েক শিক্ষার্থী। পরে বাপ্পী নিজেকে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে হুমকি দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে যায়। এঘটনার জেরে ধরে আজ বাপ্পী বহিরাগত ১০-১৫ জন নিয়ে অস্ত্র নিয়ে শাহেদসহ অন্যান্যদের উপর হামলায় চালায়। এসময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, বহিরাগত কয়েকজনের সঙ্গে সিটি ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে কি ঘটনা নিয়ে এই সংঘর্ষ তদন্ত ছাড়া এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় কয়েক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতের উদ্ধার সাভারের এনাম মেডিকেল নিয়ে গেলে সিফাত নামে শিক্ষার্থী কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে । তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এঘটনায় বহিরাগত দুইজনের আটকের কথা নিশ্চিত করে ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফ এম সায়েদ জানান, দুইজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তবে সংঘর্ষের কারণ সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সাংসদ ডা. এনামুর রহমান ও পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে হাসপাতালে যান।