সব
জাহিদ হাসান:
প্রেমিক আর কবি। দুই শব্দের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও তাদের বাস্তব জীবন যাত্রায় অনেকটাই মিল খুঁজে পাওয়া যায় বলে বিচক্ষন ব্যক্তিরা দাবী করেন। প্রেমিক তার কোমল হৃদয় আর শুদ্ধ ভালোবাসার আবেগ দিয়ে সুন্দর পৃথিবীকে উপলদ্ধি করেন। অন্যদিকে কবি তার সৃষ্টিশীল ভাবনা দিয়ে সুন্দর পৃথিবী আকেঁন ও বসবাস করেন প্রকৃতি আর ভালোবাসা সেতু বন্ধনের মাঝখানে। ফলে লড়াই হবে ঠান্ডা। প্রতিযোগিতা থাকবে কঠিন। আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের ৫ম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সহ-অধিনায়কের পদে প্রেমিক হৃদয়ের মানুষ ওবায়দুর রহমান লিটন রয়েছে। অন্যদিকে কবি মানুষ হিসেবে অপর প্রার্থী রয়েছে মাহাবুব মন্ডল। নিজের মিষ্টি আলাপণের মাধ্যমে উপস্থাপন আর বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাইছেন কাঙ্খিত ভোট। শেষ হাসিটা কে হাঁসবেন প্রেমিক না কবি? সেটাই এখন সময়ের ব্যাপার।
ওবায়দুর রহমান লিটন: ‘হাসিতে মুক্ত ঝরে‘ প্রবাদটি সবার জানা। ব্যক্তির হাসি ও মানুষকে কাছে টানার শক্তি হিসেবে এই প্রবাদটি ব্যবহৃত মিষ্টি অস্ত্র। অনেকের মতে এই ধারালো মিষ্টি অস্ত্রের দাবিদার ওবাদুর রহমান লিটন। সদালাপী ও মিষ্টি হাসির জাদুকর লিটন দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকায় আশুলিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমান যুগ্ম সাধারণ ও প্রার্থী ওবায়দুর রহমান লিটন জানান, গত দুইবছর প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে কাজ করেছি। এবারও নির্বাচিত হলে কার্য্যনির্বাহী কমিটির সহযোগীতায় প্রেস ক্লাবের সামাজিক উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করবে। গত দুইবছর প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে কাজ করেছি। কাজের জয় পরাজয় বড় কথা নয়, নির্বাচনে হার জিত আছেই। কেউ জিতবে এবং কেউ হারবে। সবাই এক ছিলাম এক থাকবো। ফলাফল যাই হোক কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার কথা জানান।
মাহাবুব মন্ডল: কথাতেই যার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ। কথার ছন্দেই কবি হিসেবে নিজের অবস্থান জানান দেন ব্যক্তি মাহাবুবু মন্ডল। সাপ্তাহিক শীর্ষ খবর কর্মরত মানুষটি গোছালো কথার ছন্দ ও পোশাক আশাকের রয়েছেন ভিন্নতার ছোঁয়া। প্রতিবাদী তবে স্বল্প কথার মানুষটি একটু সোজাসাপ্টা কথা বলতেই পছন্দ করেন। নিজেকে সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন বলে অনেকের কাছে বিবেচিত। চিন্তাশীল এই মানুষটি নির্আবাচিত হলে, সাংবাদিকদের কল্যাণসহ প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে কাজ করবেন। আর অপসাংবাদিকতা দূর করতে নিরলস কাজ করবেন।