সব
এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
পারিবারিক কলহের জের ধরে সাভারে এক গৃহবধূকে হত্যা পর হাত পা বেঁধে বস্তাবন্ধী করে নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।জড়িতের অভিযোগে নিহত গৃহবধূর স্বামী ও শশুরকে আটক সাভার মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে সাভারের আমিনবাজার এলাকার তুরাগ নদীর কিনারে বস্তাবন্ধী ও হা পা বাধা অবস্থায় এই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ সালেহপুর এলাকার হযরত আলীর মেয়ে। গত এক বছর আগে একই এলাকার ওমর ফারুকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল।
সাভার মডেল থানার আমিনবাজার ফাঁড়ি ইনচার্জ আবদুল বাসেদ জানান,, গত ৪ জানুয়ারী লিজা নিখোঁজ দেখিয়ে ৭ জানুয়ারী তার দুলা ভাই থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। তবে আজ দুপুরে স্থানীয়দের খবরের আমিনবাজার সালেহপুর ব্রিজের নীচে তুরাগ নদীর কিনার থেকে একটি সন্দেহজনক বস্তা উদ্ধার করা হয়। এসময় বস্তার ভিতর থেকে হা পা বাধা অবস্থায় এক নারী মৃতদেহ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় নিহত ঐ নারী তানিয়া আক্তার লিজা। তবে নিখোঁজের আগে তার দেঙ্অেপুর সঙ্গে কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ হয়েছিল বলেও পুলিশ জানায়। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই এই দম্পত্তির পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। কলহের জের ধরে গৃহবধূ লিজাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। এঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে স্বামী ওমর ফারুক ও শশুর মজিবর হোসেন আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় লিজার দেবর অপু পালাতক রয়েছে।
নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠানো হয়েছে।