আশুলিয়ায় আগুন আতঙ্ক হুড়োহুড়িতে আহত ২০ শ্রমিক

আগের সংবাদ

আশুলিয়ার সেরা করদাতা নির্বাচিত

পরের সংবাদ

আশুলিয়ার অগ্নিকান্ডে মৃত্যু মিছিলে কিশোরী আঁখি

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৩:১৫ অপরাহ্ণ, ২৩/১১/১৬

এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:

স্বপ্ন নিয়ে প্রায় দুই মাস আগে আশুলিয়ার জিরাবোতে কালার ম্যাক্স বিডি লিমিটেড কারখানায় কাজে যোগদেয় সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী আঁখি। পরিবারের অভাবকে দূরে ঠেলে আনবে কিছু স্বচ্ছলতা । কিন্তু কিছু আর করা হলো না আখিঁর। ভয়াবহ আগুনের জ্বলশানিতে পুড়ে গেছে আখিঁর স্বপ্ন। সে আর বেচেঁ নেই মানতে পারছে না পরিবারের স্বজনরা। তাদের মনের আড়ালে এখনো আখিঁ হেটে বেড়াচ্ছে বাড়ির উঠানে।
মঙ্গলবার আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার কালার ম্যাক্স বিডি লিমিডেট কারখানার আগুনে নিহত আখিঁর ঠাই এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আঁখি। অথচ দুদিন পরে ছোট ভাই নাইমের স্কুলের বেতন দিতে হবে। এভাবে বুক ফাটা আৎর্তনাতে চিকিৎকার করে বলছে আখির বাবা আশরাফুল।
তিনি আরও জানায়, দুমাস আগে গ্রামের বাড়ি থেকে আখিঁকে নিয়ে আসে জিরাবো এলাকায়। পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ও ছোট ভাই নাইমের পড়াশোনার বার নিজে হাতে তুলে নেয় আখিঁ। পরে দুইমাস আগে কালার ম্যাক্স বিডি লিমিডেট কারখানায় যুগ দেয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরের খাবার খেয়ে অফিসে যাওয়ার আগে বলে যায় এমাসের ১২ ডিসেম্বর বেতন তুলে বাড়িতে পাঠাবে। কিন্তু আগুনে শেষ হয়ে যায় সব কিছু। আগুনে পুড়ে ঢাকা হাসপাতালে মারা যায় আখিঁ।
এদিকে আখিঁর স্বজন লায়লা আক্তার জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে খাবার খেয়ে অফিসে চলে যায়। বিকেলে কারখানায় আগুন লেগে দ্বগ্ধ হয় আখিঁ। পরে ভোর রাতে সে মারা যায়। কিন্তু প্রতিটি মূহর্তে মনে হচ্ছে আমাদের সামনে আখিঁ ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোন ভাবে মেনে নিতে পারছি না আখিঁ আমাদের মাঝে নেই ।
তিনি আরও জানায়, কারখানায় কাজ করানোর জন্য সবসময় নারী ও শিশু শ্রমিকদের বেছে নিত। তাছাড়া কারখানার ভিতরে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নেই বললে চলে। যদি সচেতন হতো তাহলে আখিঁর মত আরও ম্রমিকদের আগুনে পুড়তে হতো না।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কালার ম্যাক্স বিডি লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আখিঁ দ্বগ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে নারী ও শিশু কেন্দ্রে নেওয়া হয়। এসময় তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠায়্ পরে ভোরে আখিঁর মৃত্যু হয়।
আখিঁ রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার বিক্রমপুর গ্রামের আশরাফুলের মেয়ে । সে গ্রামের বাড়িতে একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। সে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার হাজী চানঁ মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো ।