সব
এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় থানা মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির উদ্যোগে বুধবার সকালে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মালিকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩৮ লাখ জামানতের টাকা আত্মসাত ও শতাধিক মৎস্য ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদের অভিযোগে এ প্রতিবাদ সভাটি হয়।
মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি ফারুক হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ সভাপতি শ্রী তুষার কান্তি বিশ্বাস, শ্রী দীনেশ, আবুল বাশার বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মফিদুল ইসলাম।
প্রতিবাদ সভায় সমিতির সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৩ বৎসর যাবৎ বাইপাইল হাজী সবেদ আলী শপিং কমপ্লেক্সে শতাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী মাটি ভরাট করে মাছের আড়ৎ প্রতিষ্ঠা করেন। এজন্য মৎস্য আড়তের জমির মালিক সবেদ আলী কে শতাধিক ব্যবসায়ী ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জামানত প্রদান করেন। এছাড়া প্রতিমাসে আড়াই লাখ টাকা ভাড়া প্রদান করেন। ইদানিং মালিক মার্কেটটি ভেঙ্গে ফেলে বহুতল ভবন নির্মাণ করার লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের মার্কেট ছেড়ে দেয়ার আলটিমেটাম দেয়। ঘটনায় ব্যবসায়ীরা তাদের জামানতের টাকা চাইলে তিনি টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীরা এ প্রতিবাদ সভা করে।
সভায় মৎস্য ব্যবসায়ীরা ৪ দফা দাবি জানায়। দাবীগুলো হলো- ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জামানত ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে দিতে হবে, আগামী ১ বছর মার্কেটটিতে ব্যবসা করার জন্যে সময় দিতে হবে, সকল মৎস্য ব্যবসায়ীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, জামানতের টাকার বিপরীতে সকল ব্যবসায়ীকে স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্র দিতে হবে। অন্যথায় ৫ সেপ্টেম্বর থেকে মালিককে কোন ভাড়া প্রদান করা হবে না এবং যেকোন মূল্যে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ার হুশিয়ারি দেন। এজন্য যেকোন পরিস্থিতির জন্যে মালিকই দায়ী থাকবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে মালিক সবেদ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে, সাংবাদিক পরিচয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।