সাভারে প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু

আগের সংবাদ

শুভ জন্মদিন সাংবাদিক নেতা “খোকা মুহাম্মদ চৌধুরী”

পরের সংবাদ

গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মহাসড়কে বেপরোয়া ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৭:১৩ অপরাহ্ণ, ১৯/০৪/২০

হাসান ভূঁইয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ আক্রান্তের সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে, কোনো ধরনের প্রতিষেধক না থাকায় প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সতর্কতা, সচেতনতা ও পরিষ্কার থাকায় আপাতত এ ভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র কৌশল। এদিকে গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলেও বর্তমানে দেশে এর সংখ্যা ৯০ জন ছাড়িয়েছে, মারা গেছে ১৩জন, অথেচো দেশের জনগোষ্ঠীর বিশাল একটি অংশ এখনও অসচেতন রয়েছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গত শনিবার দেশব্যাপী চলমান গণপরিবহন চলাচল ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। জনস্বার্থ বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও এক ভিডিও বার্তায় জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে গণপরিবহন ‘লকডাউন’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তবে পণ্য পরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ওষুধ, পচনশীল ও ত্রাণবাহী পরিবহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

এই নিষেধাজ্ঞা অপেক্ষা করে সাভারের প্রায় সবগুলো সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা। এর মধ্যে কোনটি পুরাতন রিকশার সাথে মোটর সংযোজন করা, আবার কোনোটি স্টিল বডিতে রিকশা, এছাড়াও রয়েছে অটোরিকশার আদলে ইজি বাইক। করোনা ছড়ানোর ভয় অপেক্ষা করে সাভারের মহাসড়ক গুলোতে এসব অনুমোদনহীন রিকশার দৌরাত্ম্য চরমে পৌছে গেছে। সাভারে কত লক্ষ এসব অটোরিকশা আছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। দ্রুতগতির এসব হালকা বাহনে প্রায় ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎের অপচয় তো আছেই। আর করনো ভাইরাস ছড়ানোর ঝুকিঁতো শতভাগই রয়ে যায়।

গণপরিবহন না থাকায় বড়তি ভাড়ার লোভে মরিয়া হয়ে উঠেছে অটোরিকশা চালকরা, তারা দূরের রাস্তার যাত্রী ধরতেও ইতস্তবোধ করছেন না। এদিকে রিকশা চালকদের গায়ে বিশেষ কোন সুরক্ষা পোশাক না থাকায়, তারা নিজেরাই নিজেদের পরিবারকে ঝুকিঁর মুখে ফেলছেন। আর যাত্রীর ঝুঁকিতে আছেই।

হাশেম নামের এক রিকশা চালক জানান, ‘ঘরে পাঁচদিন চলার মত খাবার নাই, ঘরে বসে থাকলে আমরা ১০/১৫ দিন কি খেয়ে থাকবো, সব বুঝেও পেঁটের দায়ে রিকশা চালাচ্ছি।’ নিজেদের সুরক্ষা পোশাকের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ‘সুরক্ষা পোশাক এর তো অনেক দাম এত টাকা আমরা কোথায় পাবো।’

এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) আব্দুল্লাহ হেল বাকী বলেন, মহাসড়কে কোন ধরনের রিকশা যাতে চলাচল করতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা সর্বদাই কঠোর সর্তক অবস্থানে রয়েছি, আমরা মহাসড়কে রিকশা দেখা মাত্রই আটক করছি, শুধু মাত্র জরুরি কোন রোগী থাকলে দু-একটা রিকশা ছেড়ে দিচ্ছি।