দেশপ্রেমের রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র লায়ন মোঃ ইমাম হোসেন

আগের সংবাদ

পিপিএম পদক পেলেন আশুলিয়া থানার এসআই মনিরুজ্জামান মোল্লা

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় অবৈধ সীসা কারখানা; স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :১০:৫২ পূর্বাহ্ণ, ০৪/০২/১৯

হাসান ভূঁইয়া, আশুলিয়া এক্সপ্রেস:

ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ব্যাটারী পুড়িয়ে সীসা তৈরি কারখানা। এ নিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে এলাকাবাসী। সীসার ধোঁয়ায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আশ পাশের লোকজন। এ নিয়ে পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রামে। আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী।

আশুলিয়ার ইউনিয়নের কাঁঠগড়া, খাগান ও চালা রাসায়ন গেট এলাকায় মিলবে এমনি বেশ কয়েকটি অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ব্যাটারী পুড়িয়ে সীসা তৈরি কারখানা। এ সকল স্থাপিত ব্যাটারী ফ্যাক্টরী হতে নির্গত এসিড মিশ্রিত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফল ও ফসল।

সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে টিনের তৈরী বেড়া ও টিনসেডের তৈরী ঘরের মধ্যে সাইনবোর্ড বিহীন একটি কারখানা স্থাপন করেছেন পুরাতন ব্যাটারী পুড়িয়ে সীসা তৈরীর কাজ করা হয়। কারখানা চালু করলে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া চারিদিকে ছড়িয়ে পরে আর এর ফলে এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শ্বাস প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, নারী পুরুষ সকলে।

এদিকে এ সকল কারখানায় যারা কাজ করছে তাদের অনেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে। এছাড়াও তারা এ ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও মাস্ক ব্যবহার করছে না। নেই কোন পরিকল্পিত ব্যবস্থা। এমনি এদের সকলের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এখানেই। এখানেই খাবার পাক করে খেয়ে নিচ্ছে অনাশেই, ঘুমাচ্ছেও অনাশে। এদেরকে দুই ভাবে ভাগ করে ২৪ ঘন্টাই চালানো হচ্ছে এই ধরনের অবৈধ ব্যাটারী কারখানা।
অন্যদিকে, স্থাণীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এ সকল ফ্যাক্টরী চালাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা গলানোর করণে জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে এসব অবৈধ কারখানা মালিকের কোনো মাথাব্যথা নেই। বরং তারা কেউ কেউ তাদের এহেন কর্মকা-কে যথার্থ প্রমাণের চেষ্টা করেছেন।

এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোঃ খবির উদ্দিন বলেন, সীসা খুবই একটি বিপদজনক উপাদন, যা থেকে মানুষের শরীরে কান্সারের মত মারাত্নাক মরণ ব্যাধী হতে পারে। শুধু তাই নয় সীসার পানি যে মাটিতে পড়বে সেই মাটিতে যে ফসল হবে তা খেলেও মানুষের কান্সার হতে পারে। এ খানে যারা কাজ করে তাদের জীবন হুমকির মুখে। এ সকল অবৈধ কারখানা দ্রুত বন্ধ করার দরকার বলে মনে করেন তিনি।