আশুলিয়ায় নৌকায় ভোট চেয়ে গণসংযোগ

আগের সংবাদ

আশুলিয়ায় নৌকার পক্ষে মইনুল ইসলাম ভূঁইয়ার গণসংযোগ

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় যুবলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মামলার অভিযোগ

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৭:৪৪ অপরাহ্ণ, ২২/১২/১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশুলিয়া এক্সপ্রেস:

ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে নৌকার সংসদ সদস্যের নির্বাচনি প্রচারণার সময় মারামারির ঘটনায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকারসহ ১০ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে এ মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানান আশুলিয়ার থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী সাবেক যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন মুসার ভাই মহিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এজাহারে সূত্রে জানা যায়, আশুয়িলা থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির সরকারের হুকুমে নরুল আমিন, মো. সোহেল মোল্লা ও জাাহঙ্গীর আলম বেপারীসহ ১০ জন ও অজ্ঞাত নামা আরও কয়েকজন মিলে সাবেক যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন মুছাকে জিরাবো থেকে নরসিংপুর যাওয়ার পথে হামলা করে ।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির সরকার জানান, দুপুরে থেকেই সংসদ সদস্য এর সাথে আমার গণসংযোগ করি, বিকালে স্থানীয় সাংসদ এনামুর রহামান সহ অন্যান্য নেতারা ও আমার খাবারের টেবিলে খাবার খাচ্ছি, এসময় খবর পাই মারামারি ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তাহলে কিভাবে আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত? আশুলিয়া যুবলীগের কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ও আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা হিসেবে এই মামলা দেয়া হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমি ও আমার কর্মীরা কোন ভাবেই এই হামলার সঙ্গে জড়িত নেই। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন জানান, এ বিষয়ে আমার তেমন কোন মন্তব্য নেই। তবে তারা নিজেরা যদি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন মনে করেন। আমি উপস্থিত থেকে সমাধানের পক্ষে কাজ করবো।

তবে এ বিষয়ে মামলার বাদী ও মুছার ভাই জানান, পূর্ব শত্রুকার জের ধরে আমার ভাই মারধর করা হয়েছে। কবির সরকারের হুকুমে তারা অনুসারী এই হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ ডা. এনামুর রহমান মারামারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কবির সরকারসহ আমরা খাবার টেবিলে খাবার খাচ্ছি, এমন সময় মারামারি কথা শুনে পেয়ে খাবারের মাঝ পথেই খাবার রেখে বাইরে চলে যাই। আমি থানায় কথা বলেছি। ঘটনার সময় যারা আমার সাথে ছিলো, তাদের বিরুদ্ধে কেন মামলা হলো? এমন প্রশ্নে উত্তরে তারা জানিয়েছেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীর নাম নেয়া হয়েছে। তবে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, যারা প্রকৃত আসামী শুধু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ও তদন্ত সাপেক্ষ মামলা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সুমন মন্ডল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।