আশুলিয়ায় শ্রমিক পল্লীতে ভয়াবহ অগ্নীকান্ড

আগের সংবাদ

আশুলিয়ায় শিক্ষার্থীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় ছিতাইয়ের অভিযোগে এএসআইকে ক্লোজড

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ১২/০৮/১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশুলিয়া এক্সপ্রেস:

আশুলিয়ার নয়ারহাটে জাতীয় বস্ত্র প্রকৗশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নিটার) এক শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে আশুলিয়া থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুন হোসেন কে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়া ছিনতাই চেষ্টার সময় ঘটনাস্থল থেকে আব্দুর রাজ্জাক খান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়।

আটক ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার ভেড়াকোলা পূর্বপাড়া গ্রামের মো। সাদেক আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী ছাত্র জানায়, গত ৩০ জুলাই অনলাইন শপিং পোর্টাল বিক্রয় ডট কমে একটি ল্যাপটপ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন নোমান। এ সূত্র ধরে শুক্রবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ল্যাপটপটি কেনার করার কথা বলে নোমানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে ডেকে নিয়ে আসেন পাঁচ ব্যক্তি। এসময় কথাবার্তার একপর্যায়ে ল্যাপটপ ক্রয় করতে যাওয়া ব্যক্তিরা নোমান এবং তার সঙ্গে থাকা সহপাঠী মাহমুদুল ইসলামকে শিবির-জঙ্গি-চোরসহ বিভিন্ন অপবাদ দিতে থাকেন এবং তাদেরকে মারধর করে ল্যাপটপটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় দুই শিক্ষার্থীর ডাকে সারা দিয়ে আরও সহপাঠী এগিয়ে এসে ওই পাঁচ ছিনতাইকারীকে ঘিরে ফেলেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাদেরকে আটকের চেষ্টা করলে আশুলিয়া থানার এএসআই পরিচয় দিয়ে নিজের কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ছিনতাই চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করেন।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার এএসই মামুনের বিরুদ্ধে ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে পৃথক দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।