আশুলিয়ায় যুবককে হত্যার করে কূয়ায় মাটি চাপা দিয়েছে র্দুবৃত্তরা; আটক ৪

আগের সংবাদ

সাভারে ফেসবুকে সংবাদ; সাংবাদিকতা না বিড়ম্বনা?

পরের সংবাদ

সাভারে প্রেমিকার কানের দুলের জন্য ছিনতাইকারীর গুহায় প্রেমিক!

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৯:২৪ অপরাহ্ণ, ১২/০৫/১৭

এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:

চলন্ত বাসে প্রেমিকার কানের দুল ও গলার চেইন ছিনতাই। খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে প্রেমিক। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা- প্রতিশোধ আর ছিনতাই হওয়ায় প্রেমিকার শখের কানের দুল ও গলার চেইন উদ্ধারের অভিযান। পুলিশের আগেই অপরাধীদের আস্তানায় হামলা। খবর পেয়ে তিন বন্ধুও যোগ হয়েছেন এই অভিযানে। তারপর মহাসড়কের মারামারি। হামলা পাল্টা হামলা। তারমধ্যে ৩ ছিনতাইকারীকে আটকে পুলিশে সোপার্দ। দুই বন্ধু সুমন ও টিপু অপরাধীদের হামলায় বেশ আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ।
পাঠকরা মনে করছেন, কোন নাটক বা সিনেমার গল্প। বিষয়টি বাস্তবে ঘটেছে সাভার বাস স্ট্যান্ডে। শুক্রবার দুপুরে সাভার বাস স্ট্যান্ডে।
এবার বাস্তবের সেই গল্পটার বিস্তারিত পড়ুন।

ছুটির দিন হলেও বিশেষ কারণে বিশ্বদ্যিালয়ের যেতে হচ্ছে শ্রাবনকে (ছদ্দ নাম)। গন্তব্য সাভার থেকে রাজধানীর কলাবাগান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় । তবে চলন্ত বাসের জলানা দিয়ে প্রেমিকা প্রকৃতির (ছদ্দ নাম) কানের দুল ও গলার চেইন ছিনতাই। মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়া খবর শুনে সাভারের হেমায়েতপুরে নেমে উল্টো সাভার বাস স্ট্যান্ডে হাজির শ্রাবন। প্রেমিকা কিছুটা আহত। তার চেয়ে বড় কথা মানসিকভাবে খুবই আতঙ্গগ্রস্থ। শ্রাবন তার সহকর্মী বন্ধুদের সহায়তায় শুরু হয় ছিনতাইকারীদের খোঁজে। সঙ্গী ছিলেন আরও তিন তরুণ সহকর্মী বন্ধু সুমন, টিপু ও জাহিদ (ছদ্দ নাম)। মুঠোফোনে জানিয়ে রাখেন সাভার উত্ত ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ সাহেবকে। স্বশরীরে হাজির হয়, সাভার মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার জাকারীয়া হোসাইনের কাছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পুলিশের একটি দলের মাধ্যমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করেন। তারা ফিরে যান। তবে শ্রাবনরা তো আর থেমে থাকতে পারে না। প্রকৃতিকে অভয় দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। তারপর ছিনতাইকারীদের আস্তনা খুঁজে বের করার পালা। দুপুরের তপ্ত রোদে সাভারের বিভিন্ন অলিগলি চষে বেড়াচ্ছে। সৌভাগ্যক্রমে এই চক্রের ছিনতাইকারী হাতে পেয়ে যায়। তার তথ্যে ভিত্তিতে আরও দুইজন ছিনতাইকারী খুঁজ মিলে। দুইজন ডিবি পুলিশে সোর্পাদ করেন। একে ছিনতাইকারী অপর ছিনতাইকারী নাম বলছে। তার কাছে তথ্য নিয়ে এবার তাদের মুল হোতা রাজা মিয়ার খোঁজ পায়।
রাজা মিয়ার আস্তানায় ঢুকতেই শ্রাবনসহ চার বন্ধুকে ঘিরে ফেলে ছিনতাইকারী দল। তারমধ্যে সুমন ও টিপু সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে ছিনতাইকারী কয়েকজন। ডিবি ও পুলিশের সহোযগিতা চাওয়া হয়। শেষ পযন্ত তাদের উদ্ধার করা হয়।
সাভার মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার জাকারীয়া হোসাইন ও ডিবি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদের সর্বাত্নক সহযোগিতায় জেলখানায় তিন ছিনতাইকারী। আর খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধারের অপেক্ষায়।
তবে শ্যালুট জানাই শ্রাবন ও তার বন্ধুদের কে। শ্রাবন তার ভালবাসার মানুষটির জন্য বুঝে, না বুঝে যা করেছে বা করার চেষ্ঠা করেছে তা নিয়ে বলার কিছু নেই। শ্রাবনের জন্য উপলদ্ধি ও গভীরতার বিষয়টি প্রকৃতির উপর ছেড়ে দিলেই ভালো হয়। আর বন্ধুদের তো তুলনা নেই। এই বন্ধুত্বগুলো বেঁচে থাক সারা জীবন। একে অপরের সুখে দুখে। আর পুলিশ বাহিনীর এই সহযোগিতা সর্ব সাধারণের জন্য অব্যহত থাকবে এই কামনা সাধারন জনগনের।