আশুলিয়ায় নারী পুলিশ মৃত্যু ঘটনায় সহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক

আগের সংবাদ

আশুলিয়ায় দুইশত লিটার মদসহ একজন আটক; ডিবি পুলিশ

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় নারী পুলিশ মৃত্যু; আরেক পুলিশ সদস্যকে আসামী করে মামলা

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :১২:৪৮ অপরাহ্ণ, ১০/১১/১৬

এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:

আশুলিয়া নারী পুলিশ সদস্য সাবিনা আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দেওয়ার জন্য পুলিশ সদস্য জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা প্ররোচনা প্রমাণ পাওয়ায় জিয়াকে বরখাস্ত করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে আশুলিয়া থানায় মৃত নারী পুলিশ সদস্যের বড় ভাই নজরুল ইসলাম লিটন বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা জন্য  জিয়াউর রহমান জিয়াকে দায়ী করে মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল রাতে জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। মামলা দায়ের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি ) মহসিনুল কাদীর বিষয়টি নিশ্চিত করে  জানান, সকালে মৃত সাবিনার ভাই থানায় এসে জিয়াকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এছাড়া গতকাল জিয়াকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আত্মহত্যা প্ররোচনায় দেওয়ার প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়া যায়। সে প্রেক্ষিতে জিয়াকে চাকুরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ।
সাবিনা এবছরের শুরুতে আশুলিয়া থানায় কাজে যোগদান করে। এরপর থেকেই পুলিশ সদস্য জিয়ার সাথে প্রেমে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাবিনার। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাবিনার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। কয়েকদিন আগে জিয়া বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক বিষয়টি জানতে পারে সাবিনা। তারপর থেকে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরে। পরে গত কাল বুধবার দুপুরে আশুলিয়া থানার ব্যারাকের পঞ্চমতলায় নিজ কক্ষে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে সহকর্মীরা তাকে খুঁজতে গিয়ে সাবিনার ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে । এসময় সাবিনার কক্ষ থেকে মৃত্যুর জন্য জিয়াকে দায়ী করে একটি চিরকুট লিখে যায়। সেই চিরকুটে আশুলিয়া থানার পুলিশ সদস্য জিয়াউর রহমানকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দায়ী করেন। এরপর পুলিশ সদস্য জিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে তাকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে এ ঘটনার পরপরই ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।