সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে জাবি সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে মহাসড়ক অবরোধ

আগের সংবাদ

সাভারে নানা আয়োজনে দৈনিক ফুলকির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

পরের সংবাদ

আশুলিয়ায় অবৈধভাবে গার্মেন্টস ভবন দখলের অভিযোগে বিদেশীসহ আটক ২

হাসান ভূঁইয়া

প্রকাশিত :৬:১২ অপরাহ্ণ, ০২/১১/১৬

এক্সপ্রেস প্রতিবেদক:
অবৈধভাবে গার্মেন্টস ভবন দখল ও কোটি টাকা চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে আশুলিয়ায় এক বিদেশী নাগরিকসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে তাদের নরসিংহপুর এলাকা থেকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন পাকিস্তানী বংশবোত ব্রিটিশ নাগরিক আরশাদ মাথিয়া ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ভাগিনা আব্দুর রহমান উপল। ভিকারুন নেছা নুন স্কুল এন্ড কলেজের প্রাক্তন সিনিয়র শিক্ষিকা জেসমিন হাসান মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, শিক্ষিকার স্বামী আবুল হাসান ভুইয়ার কাছ থেকে ২০১২ সালে তার নরসিংহপুর এলাকার চারতলা ভবনের দুইটি ফ্লোর মাসিক চুক্তিতে ভাড়া নেন বিদেশি নাগরিক আরশাদ মাথিয়া ও একই ভবনের চার তলার ফ্লোর ভাড়া নেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়া আলমের ভাগিনা আব্দুর রহমান উপল। তারা ফ্লোর তিনটি এস ২১ ও কে ২ কেজুয়াল নামের দুইটি পোশাক কারখানার নামে ব্যবহার করে আসছেন। শিক্ষিকার স্বামী আবুল হাসান মারা গেলে ভাড়াটিয়া আরশাদ মাথিয়া ও আব্দুর রহমান ফ্লোর তিনটি ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেয়। এতে ওই শিক্ষিকা বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পায়নি বরং তারা একে পর এক ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি ওই শিক্ষিকার ছেলে রাহত হাসান অস্ট্রোলিয়ার ম্যালবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশে ফিরে গত মঙ্গলবার মা-ছেলে মিলে তাদের ওই কারখানায় গেলে আরশাদ মাথিয়া ও আব্দুর রহমান উপলে নেতৃত্বে রবিউল, রেজোয়ান রাব্বি, জাকির হোসেন, সামছুল হক, ওহাব আলী ও মোঃ খয়রাত মিয়াসহ আরো কয়েকজন তাকে ও তার ছেলেকে আটক করে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি আশুলিয়া থানা পুলিশ জানতে পেরে মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে। এসময় পাকিস্তানী বংশবোত ব্রিটিশ নাগরিক আরশাদ মাখিয়া ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়া আলমের ভাগিনা আব্দুর রহমান উপলকে আটক করেন।
মামলার বাদী শিক্ষিকা জেসমিন হাসান অভিযোগ করে বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর আব্দুর রহমান উপল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের প্রভাব খাটিয়ে আমাদের ভাড়া পরিশোধ না করে চার তলা ভবনটি দখল করে রেখেছে। আমার বিরুদ্ধে এ পযন্ত ১২টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। আমার ছেলেকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করে। সময়মতো পুলিশ যেয়ে আমাদের উদ্ধার না করলে তারা আমাদের হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলতো।
ঢাকা জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুল হাসান ফিরোজ জানান, আরশাদ মাথিয়া অবৈধ ভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করে কয়েকজন বাঙ্গালীদের সহযোগীতায় নানা অপকর্ম করছেন। বাকীদের আটকের চেষ্টা চলছে। আটককৃতদের একটি চাদাবাজী মামলায় আটক করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।